Tuesday, May 31, 2011

ভার্সিটি লাইফ একটা সেক্স লাইফ part 1


ভার্সিটি লাইফ একটা সেক্স লাইফ

সকাল বেলা ক্লাসের আগে নাস্তা করার জন্য ক্যাফেতে গেলামভার্সিটির ক্যাফেতে ব্রেকফাস্ট খুব ভালসব কিছুই থাকে,বিভিন্ন চিজ,জ্যাম,ডিম,দুধ আর এগুলা নিজের রুমে রাইখা প্রতিদিন একটু একটু খাওয়া বিরক্তিকরস্পেশা ী ডিম সিদ্ধ করা খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার কিন্তু সিদ্ধ ডিম না ছাড়া তো চলে না কারন আমার চাই শক্তি এবং ভেতরের শক্তিটেবিলে বসে খাইতেছিঐ সময়ে দেখি সালোয়ার কামিজ পরা এক মেয়ে ঢুকলোস্বাস্থ্য গোস্ত দেইখা মনে হইলো পান্জাবী হৈতারেযেমন লম্বা তেমন টল! সাইডে কোমর পর্যন্ত কাটা কামিজ আর পাতলা কাপড়ের সাদা পায়জামার কারনে মেয়েটার চওড়া কোমর আরো চওড়া লাগতেছে আর সত্যি কথা কি একটু দেশী গন্ধ থাকলে বিদেশে যেকোন মাইয়াই পরী লাগেমেয়েটা বোধহয় নতুন নাইলে এমন থতমত ভাব নিয়া কোনায় দাড়াইতো নাকলা খাইতে খাইতে মনে একটু হিরোইজম জাগান দিলউইঠা গিয়া ওর পাশ গিয়া দাড়াইলামট্রে থিকা একটা কেকের টুকরা নিয়া হ্যাল্লো বইলাই আরেক হাত বাড়াইয়া দিলাম, বললাম, ওয়েলকাম ওয়ালকামআমাদের ভার্সিটিতে সাউথ এশিয়ান নাই তাই ভাবছিলাম আমারে দেইখা বোধহয় খুশী হইয়া যাবে কিন্তু ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙ্গেমাইয়া দেখি চোখ মুখ শক্ত কইরা থ্যাংক ইউ বইলাই চুপআমি শিউর হইলাম এইটা ঢাকার মাইয়া নাইলে এমন বেয়াদবী করার কোন কারনই নাইজনবহুল ঢাকা শহরের স্কুল-কলেজের একটা সুন্দরী মাইয়া প্রতিদিন না হইলেও ১ হাজার পোলার চোখের প্রশংসা আর ৫০ পোলার চান্স খুজা দেখতে দেখতে নিজেরে মনে করে নায়িকা কিনাকিআর কোন এক আজব কারনে যেন ঢাকার মাইয়াদের কেমন আছেন জিগাইলেও ভাবে ওনারে ধর্ষন করতে চাইতাছি!

সকাল সকাল এই নায়িকা কিনাকির ভাব দেইখা মেজাজ খারাপ কইরা নাস্তার টেবিলে গিয়া বসলামমেজাজ খুবই খারাপ হইতে চাইতেছে কিন্তু নিজেরে বুঝ দিতে চেষ্টা কইরা যাইতেছিআরে ঢাকাইয়া সুন্দরী তোগোরে তো চিনি! ছেমরি দুই পা ফাঁক করতে পারছ না ঠিক মত,যোনী দেখলে মনে হয় ঝামা,পাছায় কালশিটা পইরা আছে নিশ্চিত এই তুই সকাল সকাল এমুন পার্ট লইলি আমার লগে? অহংকারী মন বলে, চশমা পড়া চিড়ল দাঁতের মিষ্টি ম্যাডাম লাগাইলাম, ৩ মাইয়ারে এক দানে ঠান্ডা করলাম আর তুই আমার লগে ভাব মারলি! যাহ,চুদলাম না তোরে ফুলের বাগানে! মনের মাঝে সুশীল অংশ বলে, আরে এত চ্যাতো ক্যান?নতুন আসছে বোধহয় বিদেশ , ভয়ে ভয়ে আছে অথবা মাসিক শুরু হইছে তাই চাঁপে আছে আর এশীয়ার মাইয়াদের যে ভাব বেশী এটাতো স্বাভাবিকএকমনে খাইতেছি দেখি ট্রে হাতে ছেরী সামনে আইসা দাড়াইলোবাংলায় জিগায়, আমি কি এখানে বসতে পারি? বললাম, বসেনবইলাই আমি নাস্তা থুইয়া উইঠা গেলামফিরাও তাকাইলাম না

বাইরে বের হইয়া একটা সিগারেট ধরাইলামমনটা শান্তি লাগতাছেভাব মারানীর নগদ শোধ হইলো কিছুটাএবার বুঝসারাদিন আর মাইয়ারে কোথাও দেখি নাইআমি আবার টিচিং এসিস্টেন্টফার্স ট ইয়ারে ইকনোমিকসের টিউটেরিয়াল ক্লাস নেইক্লাস ভর্তি কচি কচি পোলাপানএদের লেকচার মারতে মজা আছেঐ দেমাগীর কথা মনেই নাইপরের দিনও কোথাও দেখলাম নাএরপরের দিনও কোথাও নাই ঢাকাইয়া ছেরীএকটু সন্দেহ হইলো ঘটনা কিসাত সকালে যারে ডিপার্টমেন্টের ক্যাফেতে দেখলাম তারে ৩ দিনেও ডিপার্টমেন্টে দেখি না ক্যান? সেক্রেটারী মুটকীরে জিগাইলাম, আমার দেশ থিকা নতুন একটা মেয়ে আসছে নাকি? আমারে বলে ও হ্যা,আমি তো তোমারে বলতে ভুলে গেছিজয়া ফারুকী নামে এক মেয়ে আন্ডারগ্র্যাডে আসছেজিজ্ঞেস করছিল কোন বাংলাদেশী আছে নাকি, আমি তোমার কথা বলছি তো ওরেআমার ধারনা তাইলে ঠিকই আছেমাইয়া দেশীতয় আমার কথা জানার পরেও ক্যাফেতে এমন ভাব নেয়ার কারন বুঝলাম নাতবে ঢাকাইয়া মাইয়া,ভাব নিতে কোন কারন লাগে নাসেক্রেটারীরে বললাম,ওরে তো ডিপার্টমেন্টে দেখি নাঘটনা কি? মুটকি বললো, মেয়ের তো জ্বরডর্মেই রেস্টে আছেএকটু ফাপড় খাইলামসেক্রেটার মুটকিরে ধন্যবাদ দিয়া বের হয়ে আসলামযাক, নাম তাইলে জয়াবেচারী আসতে না আসতেই জ্বরে পড়লো? ধুর,ঐ মাইয়া মইরা গেলেও আমি নাই!

পরের সপ্তাহে জয়ারে দেখলাম ডিপার্টমেন্টেজি ্স টি-শার্ট পরাওর ভরাট বুক আর আরব মেয়েদের মত পাছাটা দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেল কারন আমি উপভোগ করতে পারতেছি না ঐ ঘটনার জন্যএর পরের দিন ক্যাফেতে দেখলাম,একই লাইনে দাড়াইছি খাবারের লিগাআমি দ্বিতীয়বার তাকাই নাইপরের দিন দেখলাম যেই মাঠে ফুটবল খেলি ঐটার পাশের রানিং ট্র্যাকে হাটতেছেএরপরের দিন দেখি আমার টিউটেরিয়াল ক্লাসে! আমি তো কই,ভাল বিপদআমার দেশের মাইয়া এখন ক্লাসে যদি ওরে ইগনর করি তাইলে তো খারাপ দেখায় আর যদি কেয়ার করি তাইলে মান সন্মান ইজ্জতের প্রশ্ন! আর দশটা স্টুডেন্টের মতই নতুন হিসেবে ওর নাম ধাম ও নিজের সম্বন্ধে ক্লাসের সবাইরে বলার জন্য বললামমেয়ে বাংলায় বলে, আমার লজ্জা লাগে! আমি একটু থতমত খাইলাম,ইংরেজীতেই বললাম,লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই এখানে সবাইতো ফ্রেন্ডসআমিও লেকচারার না সুতরাং টেক ইট ইজিদেখলাম,সাহস পাইছে,দাড়াইয়া বললো, আমি জয়া,বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় থাকিআমি একমাত্র সন্তান তাই বাবা-মা ছেড়ে বিদেশে আসায় আমি এবং আমার পরিবার সবাই একটু আপসেটতবে সব ঠিক হয়ে যাবে,সবাই আমার দোষ ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেইখো, প্লিজএত সুন্দর করে নিজের পরিচয় দিয়ে ক্লাসে একদম হিট হয়ে গেল,সবাই হাততালি দিলআমিও হাততালি দিলামমেয়েটার উপর রাগ পইড়া গেল আমারকারন আমার দেশটার মুখ উজ্জল করছে একটু হইলেওসবাই বলবে যে, বাংলাদেশের স্মার্ট মেয়েখুশি মনে ক্লাস নিলাম,ক্লাসের পরে দেখি জয়া একদম দেশী ছাত্রীর মত পিছে পিছে আমার অফিসে আসলোবসতে বলে কফি বানাইয়া দিলাম৩ চামচ চিনি নিলহঠাৎ বলে, ভাইয়া আপনি আমার উপর মাইন্ড করে থাকবেন নাঐদিন সকালে আমার মনটা খুব খারাপ ছিল তাই আপনার সাথে ভাল ব্যাবহার করি নাইতবে পরে আপনার টেবিলে গিয়েছিলাম স্যরি বলার জন্য কিন্তু আপনি উঠে চলে গেলেনআমিও নাস্তা না করে ডর্মে চলে গেছিলামঅনেক কান্না করছি সেদিন ফলে আমার জ্বর চলে আসে তাই ক্লাসে এসেও আপনাকে স্যরি বলতে পারি নাইপ্লিজ আপনি বলেন যে আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আমার তো মনটা গইলা গেলএমন রাধা স্টাইলে কথা কইলে কি কমু আমি কৃষ্ণ? বললাম, আরে নাহ কি যে বলোআমি মাইন্ড ধরে রাখি নাইহ্যা,সেদিন মেজাজ খারাপ হইছিল কিন্তু এখন আমি খুব খুশীতোমার এখনো জ্বর আছে? চেহারাটা সামনে এনে বলে,নিজেই দেখেনকপালে হাত ছুয়ে দেখি এখনো জ্বরবললাম, সর্বনাশতোমার তো এখনো জ্বর ,তুমি ডাক্তারের সাথে দেখা করে ডর্মে চলে যাওহেসে জয়া বলে,আমি জ্বর টের পাচ্ছি না তবে জ্বর নিয়েই এই সপ্তাহে ক্লাস করছিসমস্যা নেইবললাম,ওকেআমার নিজের একটা ক্লাস ছিল তাই বের হয়ে গেলাম

সন্ধ্যায় আবার ক্যাফেতে জয়ার সাথে দেখাখুব সুন্দর নীল একটা ফতুয়া পরে ডিনার করতে আসছেমেয়েটার সৌন্দর্য আসলেই সেরকমদুধ একদম খাড়া খাড়া মনে হয় ফুজি পাহাড়টা একদিকে কাত করে বুকে সেট করে দিছেপেটে মিষ্টি মেদ কিন্তু খুবই চওড়া কোমরের কারনে চোখে লাগে না বরং টুইংকেল খান্না টাইপের কোমরটা পরিপূর্ণ মনে হয়আর পাছাটা দেখলে মনে হয় কক্সবাজারের সৈকতে ঢেউ ভাঙ্গার আগে যেমন নিখুত একটু গোল শেপ হয়ে আসে জয়ার শরীরের মাঝে তেমনই যৌবনের ঢেউ মেয়েটার শরীরে প্রচুর তেল আছে বুঝা যায়চামড়ায় খামচি দিয়ে ধরলে পিছলে যাবে নিশ্চিতআর আমি জানি এমন চামড়ায় একটা স্নেহের গন্ধ থাকে তাই ৬৯ পজিশনে এমন মেয়ে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপারমেয়েটার এমন আন্তর্জাতিক ফিগারে চেহারাটাই যা বাঙ্গালী তবে হাসলে ক্যামন যেন একটু ব্যাকাত্যাড়া হয়ে যায় ১ম ঠাপ খাওয়ার পর ব্যাথায় একটা চেহারা হয় না মেয়েদের? তেমন লাগে ওকে হাসলেখুব মজা করে ডিনার করলামআমাকে ওয়াইন খেতে দেখে ও তো একটু অবাক বলে, খাবারের সাথে মদ খান আপনি? বললাম, আরে এই মদ তো খাবারের সাথেই খায়এটা জুসের মতহার্ড ড্রিংক এটা নাটুকটাক কথা বার্তা হলো অনেকদেশের কথা দশের কথাঢাকায় নাকি অনেক উন্নায়নের জোয়াড় চলতেছেপরে শুনলাম ওর বাবা রাজউকের কর্মকর্তা বুঝলাম যে বাপের ঘুষের টাকা দেইখা ভাবতেছে ঘরে ঘরে এমন টাকার ফ্লোমেয়েদের ক্ষেত্রে একটা বিষয় হলো, ওদের যত স্মার্টনেস দেখাবেন ওরা ততই হতাশ হয়মেয়েদের কথা শুনতে হয় আর মাঝে মাঝে যা বলবেন সেটাও যদি ওদের কথার সাপর্টিং হয় তাইলে মেয়েরা নিজেদের আটকে রাখতে পারে নাসব বের হয়ে আসেমেয়েরা যতই ফ্রি হবে আপনি খুশি খুশি ভাব দেখান কিন্তু নিজেও বলা শুরু কইরেন নাপ্রায় সব কথা শেষে জানতে চাইলো,গার্ল ফ্রেন্ড আছে নাকি আমার? বললাম, ছিলবলে,আমারও দেশে ছিলএখন নাই? এখন তো আমি এখানে!

বুঝলাম মেয়ে চালু আছেচোখ থিকা মাথায় সিগন্যাল চলে গেল,আর মাথা থিকা ডাইরেক্ট আমার ধনে সিগন্যাল চলে গেলআমার ৬ ইঞ্চি হঠাৎ করেই কাঁচা মাংসের ঘ্রান জেগে উঠলোআমি তবু ধীরে বন্ধু ধীরে বলে সেদিনের মত ৬ ইঞ্চিরে ব্যারাকে ঘুমে পাঠাইলামএভাবে ২ সপ্তাহ পারনাস্তা,লাঞ্চ,ব িকেলে মাঠে এবং ডিনারে জয়া আমার সাথেই থাকেমাঝে মাঝে ওরে নিয়া শহরে মার্কেটেও যাইতে হয়মাঝে মাঝে ও হাটতে হাটতে আমার কনুই চেপে ধরে গান শুরু করেহিন্দি গান অসহ্য কিন্তু এমন আইটেমের মনে তো কষ্ট দেয়া যায় নাতাই সহ্য করিওরে বলি শুধু, মার্ডার ছবির গানটা গাওঅথবা,সুনিধী চৌহানের বিড়ি জালাইলে জিগার সে পিয়া অথবা সাজনা ভে সাজনা গাইতেওর গানগুলা খুব সেক্সী লাগেএক উইকএন্ডে জয়া রিকোয়েস্ট করলো, ডিস্কোতে যাবে সেতার খুব শখ ডিস্কো দেখবেবললাম,দেখতে তো কেউ যায় নানাচতে যায়আপনি নাচলে আমি নাচবোআমি তো নাচবোইতুমি যদি না নাচো তাইলে তো হবে নাঠিক আছেআমি চেষ্টা করবোচেষ্টা ক্যান? প্র্যাকটিস করো! আচ্ছা আচ্ছাআপনি আমাকে কিছু ট্র্যাক মেইল করেনআমি প্র্যাকটিস করবোওকেরাতে ওরে বেশ কিছু ভিডিও সহ লিংক দিলামযাতে পরের দিন রেডি থাকে

শনিবার সারাদিন যে উত্তেজিতআমি ফুটবল মাঠ থেকে বের হতেই বলে,চলেনপরেই আমার চেহারা দেখে বুঝতে পেরে আবার হাসেএমন দেশী অনুভুতি অনেকদিন পরে দেখলামগোসল করে জয়ার সাথে ডিনার করে বের হয়ে গেলামলোকাল হার্ড রকে গিয়ে দেখি এখনো খুলে নাইতাই কিছুক্ষন লেকের পারে ঘুরলামজয়া একটা লাল টি-শার্ট আর সাদা জিন্স পরে আসছেযেগুলো গত সপ্তাহেই আমি পছন্দ করে কিনে দিছিলামচোখে মাশকারা,ঠোঁটে লিপস্টিক,গালে রঙ আর হাইহিলে ওকে একটা আগুনের গোলা লাগতেছিলঘুরে এসে দেখি ক্লাব খুলছে,আমরা ঢুকলামহেভী সাউন্ড আর অন্ধকার ক্লাবে ঢুকেই জয়া বেচারী একটু আড়ষ্ট হয়ে আমার কনুই চেপে ধরলোআমরা এক কোনায় দাড়ায় দেখলাম কিছুক্ষনআস্তে আস্তে জয়ার সাহস ফিরে আসতেছেএকটু একটু দুলতেছেহঠাৎই ওরে নিয়ে ফ্লোরে নেমে গেলামডেভিড গুয়েত্তা চলতেছেবেচারী আবার নার্ভাস! আমি ওরে ধরে ধরে নাচাইলাম কিন্তু লজ্জা পাইতেছেএকটু বিরক্ত হইলাম২ টা ড্রিংক নিলামওরে বললাম এইটা খাও জয়া বলে, না আমি মদ খাবো নাআমি বললাম, আরে মদ খাইলেই তো মাতাল হবা নাআর এইটা ক্লাব ড্রিংক,খুব সফটইজি লাগবেমেয়েটা আমারে খুব মানে,দেখলাম ভক্তি সহকারে একটা মেক্সিকা খেয়ে ফেললোএবার ফ্লোরে ও রিল্যাক্সখুব নাঁচ চলতেছেএরই মধ্যে এ,আর,রহমানের জয় হোজয়াও নিজেদের ট্র্যাক পেয়ে পুরা হিটজোস নাঁচলো

No comments:

Post a Comment