Tuesday, May 31, 2011

Love and Valobasha Part 1


Love and Valobasha Part 1


আমি(শান্ত) জাবিতে(জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) পড়ি, ঘটনার শুরু যখন আমি প্রথম বর্ষে ক্লাস শুরু করি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম বর্ষ, মজা আর আড্ডায় কেটে যায় তো কপাল ছিল প্রথম বর্ষে আমি ক্লাসের CR(Class Representative) নির্বাচিত হব, হয়ে গেলাম এবং ক্লাসের অপর CR ছিল একটি মেয়ে (শান্তা), যাকে নিয়ে আমার এই গল্প তো প্রথম বর্ষ মজা আর আড্ডায় কাটল তা আগেই বলেছি এর মধ্যে দেখা গেল যে শানতা মাস ক্লাস করার পর থেকেই অনুপস্থিত, স্বাভাবিক ভাবেই CR হিসেবে দায়িত্ত্ববোধ নিয়ে তার খোঁজ নিতে গিয়ে বিপত্তি বাধালাম কল করলাম আমি, কল ধরল শান্তার বাসার শিক্ষক, তিনি বললেন যে শান্তার বিয়ে হয়ে গেছে, সে স্বামীর সাথে হানিমুন গেছে শুনে আমরা সবাই মজা পেলাম, যাক বিয়ে হয়েছে আমরা শান্তার কাছ থেকে ভালভাবে একটা বড় পার্টি আদায় করব এই সেই টুকিটাকি করে প্রথম বর্ষের শেষ দিকে এসে শান্তা হাজির সদা ফটফট করা মেয়ে টি পুরো নিশ্চুপ কারো সাথে ঠিক মত কথা বলে না আর অন্যরা কেউ তার সাথে সেধে কথা বলে না তো এই দেখে আমার একটু খারাপ লাগে, কিন্তু আগ বাড়িয়ে আমিও কোনো কথা বলতে যাই না এমতাবস্থায় প্রথম বর্ষ ফাইনাল সামনে উপস্থিত, সবাই নোট যোগাড় এর জন্য ব্যাস্ত এর মধ্যে একটা কোর্সের নোট শুধু আমার কাছেই আছে, তো সবাই আমার কাছ থেকে কপি করে নেয়া শুরু করে শান্তা আসে আমার কাসে, ফায়দা নিয়ে আমি শান্তার মোবাইল নং টা নিয়ে নেই শুরু হয় আমাদের মাঝে যোগাযোগ


প্রথম বর্ষ ফাইনালে আমি পাস করে যাই, কিন্তু শান্তা ফেল করে, ইয়ার ড্রপ করে আমার মনে ওর প্রতি সহানুভুতি জন্ম নেয় এর মাঝে ওর সব কাহিনী আমার জানা হয়ে যায় ওর রতি একটা অন্যরকম সহানুভুতি কাজ করত আমার সব সময়, বন্ধুদের সময় দেয়া বাদ দিয়ে ওর সাথে সময় দেয়া শুরু করি এক সময় দেখি যে আমি ওর প্রেমে পরে গেছি অনেক দোটানার মাঝে ওকে প্রস্তাব দেই, এবং সে রাজি হয়ে যায় এবং শান্তা রাজি হওয়ার ঠিক দিন পরের কথা, আমর২জন ঘুরতে বের হই, এমনিতে আমরা ২জন আগে থেকেই অনেক ঘুরতে যেতাম তো সেদিন আমরা আশুলিয়া চলে যাই, সেখানে নদীর পাড়ে বসে ২জন গল্প করা শুরু করি, তখন শীতকাল, সন্ধ্যা .৩০ এর দিকেই হয়ে যায় আমাদের গল্প করতে করতে ৬টা বেজে যায়

এমন সময় হঠা করে আমি ওর হাত ধরি কেমন যেন একটা শক খেল, আমি ওর হাত টা আর জোরে চেপে ধরে ওকে আমার কাছে টেনে নেই আস্তে করে প্রশ্ন করি কী শীত করছে?” কোনো উত্তর না দিয়ে আমার গায়ের সাথে আর শক্ত করে চেপে বসে আমি ওর চোখের দিকে তাকাই, দেখি কেমন যেন এক ধরনের নেশাখোরের দৃষ্টি, সে দৃষ্টির িকে থাকতে থাকতে আমিও কেমন যেন নেশাগ্রস্ত হয়ে যাই, আস্তে করে ওর দিকে আমার মুখটা এগিয়ে দেই, নিজের মুখটা একটু উঁচু করে আমার মুখে লিপ কিস শুরু করে প্রথমে আমি একটু হতভম্ব হয়ে গেলে সেকেন্ড পরেই ওর ঠোটে এমন ভাবে কিস করতে থাকি যেন কোনো ছোট বাচ্চা ললিপপ চ্ছে চারপাশের দুনিয়া থেকে আমরা হারিয়ে যাই, যেন সমগ্র দুনিয়া তে আমরা ২জন ছাড়া আর কেউ নেই এমন ভাবে - মিনিট পার হওয়ার পরে শান্তা বলে উঠে, “এই ওঠো, সন্ধ্যা হয়ে গেছে, ক্যাম্পাসে ফিরতে হবে না?” আমি জবাব দেই কেন আজ না ফিরলে কি খুব বেশি সমস্যা হবে?” বলে না, তবে হল সুপার খুব চিল্লাপাল্লা করবে” (আগে বলি নাই, আমি বাসা থেকে ক্যাম্পাস গিয়ে ক্লাস করতাম আর হল থাকত) মনে মনে আমি হল সুপার এর চৌদ্দগুষ্টি তুলে গালাগালি করলাম কিন্তু চেহারাটা একটু কালো করে মুখে বললাম যে, “তাহলে কি আর করা, আজকের মত অধিবেশন এখানেই সমাপ্ত করা যাক শুনে শান্তা আমার ঠোটে একটা গাড় চুমু দিয়ে বলল, ” আমার জান, মন খারাপ করো না, ঠিক একটা ব্যাবস্থা করে আজকের অসমাপ্ত অধিবেশন অতিসত্ত্বর শেষ করব, কথা দিলাম ওর এই কথা শুনে একটু হাসি দিয়ে বললাম, “তাহলে চল তোমাকে হল দিয়ে আমি বাসাযচলে যাই” (তখন প্রায় সন্ধ্যা .৩০) ক্যাম্পাস থেকে রাত টায় ঢাকার বাস আছে, তো আমার কোনো চিন্তা ছিল না আর আশুলিয়া থেকে ক্যাম্পাস ফিরতে বরজোড় ৩০ মিনিট লাগবে

মনে মনে হিসাব করে ফেলি, ক্যাম্পাস পৌছে আমার হাতে ঘন্টা থাকে বাস ধরার জন্য তো ক্যাম্পাস এর দিকে রওনা করে আমরা ২০মিনিট ক্যাম্পাস পৌছে যাই তো তখন সন্ধ্যা ৭টার কাছাকাছি সময়, চারিদিক সুনসান নীরব আমরা ২জন হাত ধরে হাটতে থাকি, আর প্রকৃতির সুধা পান করতে থাকি শান্তা আমার হাতটা এত শক্ত করে ধরে ছিল, যেন আমাকে হারিয়ে ফেলার ভয় আছে ওর হাটতে হাটতে আমরা কিছুটা নির্জনে চলে যাই নিজেদের অজান্তেই আমি ওকে প্রশ্ন করি, “ভয় পাচ্ছ?” উত্তরে বলে ভয় পাব কেন, তুমি আমার পাশে আছ, সব ভয় তোমার কাছে এসে থেমে যাবে, আমার কাছে আসবে না কথাটা শুনে আমি বলি, “কিন্তু আমার যে ভয় করছে, সেই ভয় দূর করবে কে?” শান্তার উত্তর আস আমি তোমার ভয় দূর করে দিচ্ছি বলে সে আমাকে একটু অন্ধকার কোনার দিকে নিয়ে গিয়ে নিজে ঘাসের উপর বসে আমাকে টেনে বসাল তারপর বলে, “জান, আমার কমলালেবু দুটো কি তোমার পছন্দ হচ্ছে না? দুটোর রস খেয়ে নাও, তোমার ভয় দূর হয়ে যাবেওর কথা শুনে আমি শিহরিত হয়ে উঠলাম প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ করার ২দিন এর মাথায় একটা মেয়ে এই রকম কথা বলতে পারলে সে কি রকম ক্রেজি তা ছিন্তা করুন আপনারাই তো কথা শুনে আমি আর দেরি করলাম না, এমনিতেই হাতে সময় কম, তার উপর এই রকম সুযোগ পেলে তা দূরে ঠেলে দেয়ার মত গাধা আমি নই আমি সুন্দর মত ওর জামার উপর থেকে ওর কমলালেবু ২টা কে আদর করতে শুরু করি, আদর পেয়ে চখ বন্ধ করে ফেলে আর আমার দিকে ঠোট এগিয়ে দেয় আমিও কাল বিলম্ব না করে ওর অধর-সুধা পান করতে থাকি ওদিকে আস্তে করে ওর জামার ভিতরে আমার হাত দুটো ঢুকিয়ে দিইয়ে আরও মনমত আদর করা শুরু করি দেখি যে আবেশে শান্তার মুখ দিয়ে মৃদ আওয়াজ বের হচ্ছে, মনে মনে ভাবলাম, সুযোগ পেলে আজই ওকেএমন সময় বেসুরো সুরে আমার মোবাইল টা বেজে উঠল, এক কাছের বন্ধুর নাম দেখে কল টা ধরি, “ওই হারামজাদা, ৮টার বাস মিস করলে বাসায় কি উইড়া যাবি?” আমি আসছি বলে কল টা কেটে দিলাম আমার মন খারাপ বুঝতে পেরে শান্তা আমার গালে তার ভালবাসার একটা অধরা চিন্হ বসিয়ে দিয়ে বলে তোমার বাস ছেড়ে দিবে, তুমি যাওআমি মুখ খুলতে গেলাম, সে আমার মুখে হাত চাপা দিয়ে বলল যে, এখান থেকে হল যেতে ১মিনিট লাগবে, আমি একাই পারব, তুমি যাও, দেরি হয়ে যাবে ওর গালে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে আমি দৌড় দিলাম বাস এর উদ্দেশ্যে একটুর জন্য বাস ধরতে পারলাম কিন্তু আমার মনটা পরে রইল আমার জান-শান্তার কাছে


সময়ের মত করে সময় কেটে যায় সবাই বলে সুখের সময় কিভাবে প্রচন্ড গতিতে পার হয়ে যায় টের পাওয়া যায়না আমাদের ষেত্রেও এমন ঘটল সেই অসমাপ্ত ঘটনার প্রায় মাস পরের কথা একদিন আমি ক্লাস শেষে বসে ছিলাম লাইব্রেরীর সামনে, এমন সময় হঠা করে পেছন থেকে কে যেন আমার চোখ চেপে ধরল, প্রথমে আমি চমকে গেলেও পর মূহুর্তে একটি মিষ্টি গন্ধ আমার নাকে এসে লাগাতে আমি বুঝতে পারি যে আমার পিছনের মানবীটি আর কেউ নয়, শান্তা হাত ধরে ওকে সামনে নিয়ে আসতেই ছোট্ট একটা হাসি দিয়ে বলল, “তোমার জন্য একটা সুখবর আছে আমি বলি, “ কি, তোমার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে?” শান্তা বলে, “তা হলে তো ভালই হত, কোনো লুকোচুরি খেলতে হত না বাসার সাথে ঘটনা হচ্ছে ২দিন পরে আমার বাসায় তোমার দাওয়াত ওর কথা শুনে মুখে একটু হাসি ফুটে উঠলেও মনে মনে ভয় পেয়ে গেলাম, ওর মুখে শুনেছি ওর বাবা নাকি ভয়ঙ্কর রাগী তার সামনে পরার কথা মনে আসতেই আমার হাসিটা নিভে গেল আমার মনের কথা বুঝতে পেরে বলল, “ভয় পেও না জান, ওইদিন বাবা বাসায় থাকবে না আমার মুখে হাসি টা আবার ফিরে এলো কিন্তু আরো বড় চমক আমার জন্য অপেক্ষা করছিল, যা আমি ওর বাসায় যাওয়ার আগে টের পাইনি

তো ২দিন পরে ওর সাথে ওর বাসার দিকে চললাম, ক্যাম্পাস থেকে ১২টার দিকে রওনা দিলাম শান্তা বলেছিল যে ওর বাসায় গিয়ে দুপুরের খাওয়া খেতে তো ওর বাসায় পৌছে গেলাম .৩০ ঘন্টার মধ্যে গিয়ে আমার জন্য সেই চমক টা টের পেলাম, বাসার দরজায় তালা মারা আমি চমকে উঠে শান্তাকে বললাম, “কি হল, বাসায় কেউ নেই?” ওর শান্ত কন্ঠের উত্তর, “সেই জন্যই তো তোমাকে বাসায় এনেছি নিজের হাতে রেঁধে খাওয়াব কিন্তু এই কথার সাথে ওর মুখের একপ্রান্তে ফুটে ওঠা ছোট্ট রহস্যময় হাসিটা আমার নজর এড়ায়নি বুঝতে পারলাম যে আজকে কিছু একটা ঘটতে চলেছে

No comments:

Post a Comment